মিরপুরে মাত্র আড়াই দিনে বাংলাদেশকে বিধ্বস্ত করে ইনিংস ব্যবধানে জিতেছে পাকিস্তান। শেষ দিন সাড়ে ছয় ঘণ্টায় ১৩ উইকেট নিয়েও মুমিনুলরা লড়াই করতে পারেননি। তাতে আরেকটি হতাশাজনক হার যোগ হয়েছে বাংলাদেশের পাশে। এমন পারফরম্যান্সের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি বাংলাদেশ টেস্ট খেলতেই পারে না? মুমিনুল অবশ্য ভিন্নমত পোষণ করছেন।
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ বরাবরই শক্ত প্রতিপক্ষ। সীমিত ওভারের ক্রিকেটের মতো টেস্টেও নিজেদের কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে দারুণ লড়াই উপহার দিয়েছে অতীতে। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান তাদের সেই গৌরবকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে ছেড়েছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের পর ঢাকা টেস্টেও অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে বাংলাদেশ।
ঢাকায় ইনিংস ও ৮ রানে হারের পর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন শুনে মুমিনুল হক যেন কিছুটা বিরক্তই হলেন। যে দলটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তারা কি জানে কীভাবে টেস্ট খেলতে হয়? জবাবে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক বলেছেন, ‘আপনার কাছে কী মনে হয়? মনে হয় অবশ্যই জানে। না জানলে…ওপেনার বা এক নম্বর থেকে ওরা কীভাবে ব্যাটিং করেছে এবং বোলিং করেছে। সাদমান এই সিরিজের আগে সেঞ্চুরিও করেছে।’
টেস্ট খেলার যোগ্যতা নিয়ে মুমিনুল আরও বলেছেন, ‘জিম্বাবুয়ের মাটিতেও রান করা এত সহজ না। তার আগে শ্রীলঙ্কায় শান্ত সেঞ্চুরি করেছে। মুশফিক ভাইতো সব সময়। উনি সিনিয়র খেলোয়াড়। সাকিব ভাইয়ের কথা তো বলা লাগে না। হয়তো আমার কথা বলতে পারেন, আমি চার ইনিংসে রান করিনি। আমারটা নিয়ে হয়তো প্রশ্ন তুলতে পারেন।’
মুমিনুলের মতে যোগ্য ক্রিকেটাররাই টেস্ট খেলছে, ‘তাইজুল, এবাদত কিন্তু খুবই ভালো বল করেছে। খালেদ অনেক দিন পর খেললো, প্রথমদিন হয়তো প্রথম স্পেলে ভালো করতে পারেনি। কিন্তু দ্বিতীয় স্পেলে খুবই ভালো বল করেছে। আপনি যদি দেখেন সবাই সামর্থ্যবান। অবশ্যই তাদের টেস্ট খেলার যোগ্যতা আছে দেখেই টেস্ট খেলে।’
মুমিনুল টেস্টের নেতৃত্ব পেয়েছিলেন হুট করেই। তার অধীনে এখন অবধি ১১ ম্যাচের মাত্র ২টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। ৮টিতে হার ও ড্র ১টি। হতশ্রী এমন পরিস্থিতিতে অধিনায়কত্ব করা কতটা কঠিন? এমন প্রশ্নের জবাবে মুমিনুলের সোজাসাপ্টা উত্তর, ‘না, না। কঠিন না। আমার মনে হয় চ্যালেঞ্জিং। দেখেন আমি চ্যালেঞ্জ নিয়েছি বলে এই সিটে বসে আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি। সবাই এই চ্যালেঞ্জ নিতে পারে না। দল যখন এরকম অবস্থায় যায়, তখন গুরুত্বপূর্ণ হলো বিষয়টা আপনি কীভাবে দেখেন, কীভাবে প্রতিক্রিয়া করেন। এটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জের, সামনে হয়তো আরও চ্যালেঞ্জ আছে। আমি ইতিবাচকভাবে দেখি।’
/আরআই/এফআইআর/